শতবর্ষ ধরে টিকে থাকা কম কথা কথা নয়। সেই যে রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন ‘আজি হতে শতবর্ষ পরে কে তুমি পড়িছ বসি আমার কবিতাখানি।’ শরচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় অবশ্য এমন কিছু বলেননি। কিন্তু আমরা বলতে পারি প্রকাশের শতবর্ষ পরেও তার উপন্যাস ‘দেবদাস’ এখনও পড়ে চলেছেন মুগ্ধ পাঠক। শুধু পড়া নয়, বাংলা ভাষায় সর্বাধিক মুদ্রিত এবং পঠিতের তালিকায় রাখা যায় এ উপন্যাসকে।
শতবর্ষ ধরে টিকে থাকা কম কথা কথা নয়। সেই যে রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন ‘আজি হতে শতবর্ষ পরে কে তুমি পড়িছ বসি আমার কবিতাখানি।’ শরচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় অবশ্য এমন কিছু বলেননি। কিন্তু আমরা বলতে পারি প্রকাশের শতবর্ষ পরেও তার উপন্যাস ‘দেবদাস’ এখনও পড়ে চলেছেন মুগ্ধ পাঠক। শুধু পড়া নয়, বাংলা ভাষায় সর্বাধিক মুদ্রিত এবং পঠিতের তালিকায় রাখা যায় এ উপন্যাসকে। এই উপন্যাস সর্বাধিক চর্চিতও বটে। এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি চলচ্চিত্র হয়েছে ‘দেবদাস’ নিয়েই। শুধু বাংলা ভাষায় নয়, তামিল, তেলেগু, মালায়ম, হিন্দি ভাষায় চলচ্চিত্র হয়েছে দেবদাস নিয়ে। ইংরেজিসহ বহু ভাষায় অনূদিত হয়েছে দেবদাস। ১৯১৭ সালে প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল ‘দেবদাস’। ২০১৭ সালে প্রকাশনার শতবর্ষ পার করে দেখা যায় অন্তত বাংলাদেশে অসংখ্য প্রকাশকই মুদ্রণ করেছে ‘দেবদাস’। প্রায় শিক্ষিত সকলের ঘরেই অন্তত দেবদাসের একটি সংস্করণ অনিবার্য। ফুটপাথ থেকে অভিজাত বইয়ের দোকান, পাড়ার লাইব্রেরি, বিভিন্ন প্রতিযোগিতার পুরস্কার হিসেবেও ‘দেবদাস’ এগিয়ে আছে।
প্রশ্নটি উঠতেই পারে, শতবর্ষ ধরে এগিয়ে থাকার এই বুনিয়াদটা কী বা কোথায়? আলোচনাটা সে ক্ষেত্রে শুরু থেকেই শুরু করা যাক। বিশ্বসাহিত্যের অন্যতম সেরা দুটি উপন্যাসের শুরু লাইনটা আপনাদের জন্য উল্লেখ করতে পারি :
The sun shone, having no alternative, on the nothing new.
—Samuel Beckett, Murphy (1938)
It was a bright cold day in April, and the clocks were striking thirteen.
— George Orwell, 1984 (1949)
প্রথম উপন্যাসটি নোবেল বিজয়ী আইরিশ লেখক, নাট্যকার স্যামুয়েল বেকেটের লেখা। দ্বিতীয়টি এনিমেল ফার্ম খ্যাত ব্রিটিশ লেখক জর্জ অরওয়েলের লেখা। বেকেট তার প্রথম উপন্যাস শুরু করেছেন কোনো বিকল্প ছাড়াই, কোনো নতুনত্ব ছাড়ায়ই সূর্যোদয়ের কথা বলে। আর অরওয়েল তার উপন্যাস শুরু করেছেন এপ্রিলের উজ্জ্বল কিন্তু ঠান্ডা দিনের
শতবর্ষ ধরে টিকে থাকা কম কথা কথা নয়। সেই যে রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন ‘আজি হতে শতবর্ষ পরে কে তুমি পড়িছ বসি আমার কবিতাখানি।’ শরচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় অবশ্য এমন কিছু বলেননি। কিন্তু আমরা বলতে পারি প্রকাশের শতবর্ষ পরেও তার উপন্যাস ‘দেবদাস’ এখনও পড়ে চলেছেন মুগ্ধ পাঠক। শুধু পড়া নয়, বাংলা ভাষায় সর্বাধিক মুদ্রিত এবং পঠিতের তালিকায় রাখা যায় এ উপন্যাসকে।
By মুম রহমান
Category: উপন্যাস
শতবর্ষ ধরে টিকে থাকা কম কথা কথা নয়। সেই যে রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন ‘আজি হতে শতবর্ষ পরে কে তুমি পড়িছ বসি আমার কবিতাখানি।’ শরচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় অবশ্য এমন কিছু বলেননি। কিন্তু আমরা বলতে পারি প্রকাশের শতবর্ষ পরেও তার উপন্যাস ‘দেবদাস’ এখনও পড়ে চলেছেন মুগ্ধ পাঠক। শুধু পড়া নয়, বাংলা ভাষায় সর্বাধিক মুদ্রিত এবং পঠিতের তালিকায় রাখা যায় এ উপন্যাসকে। এই উপন্যাস সর্বাধিক চর্চিতও বটে। এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি চলচ্চিত্র হয়েছে ‘দেবদাস’ নিয়েই। শুধু বাংলা ভাষায় নয়, তামিল, তেলেগু, মালায়ম, হিন্দি ভাষায় চলচ্চিত্র হয়েছে দেবদাস নিয়ে। ইংরেজিসহ বহু ভাষায় অনূদিত হয়েছে দেবদাস। ১৯১৭ সালে প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল ‘দেবদাস’। ২০১৭ সালে প্রকাশনার শতবর্ষ পার করে দেখা যায় অন্তত বাংলাদেশে অসংখ্য প্রকাশকই মুদ্রণ করেছে ‘দেবদাস’। প্রায় শিক্ষিত সকলের ঘরেই অন্তত দেবদাসের একটি সংস্করণ অনিবার্য। ফুটপাথ থেকে অভিজাত বইয়ের দোকান, পাড়ার লাইব্রেরি, বিভিন্ন প্রতিযোগিতার পুরস্কার হিসেবেও ‘দেবদাস’ এগিয়ে আছে।
প্রশ্নটি উঠতেই পারে, শতবর্ষ ধরে এগিয়ে থাকার এই বুনিয়াদটা কী বা কোথায়? আলোচনাটা সে ক্ষেত্রে শুরু থেকেই শুরু করা যাক। বিশ্বসাহিত্যের অন্যতম সেরা দুটি উপন্যাসের শুরু লাইনটা আপনাদের জন্য উল্লেখ করতে পারি :
The sun shone, having no alternative, on the nothing new.
—Samuel Beckett, Murphy (1938)
It was a bright cold day in April, and the clocks were striking thirteen.
— George Orwell, 1984 (1949)
প্রথম উপন্যাসটি নোবেল বিজয়ী আইরিশ লেখক, নাট্যকার স্যামুয়েল বেকেটের লেখা। দ্বিতীয়টি এনিমেল ফার্ম খ্যাত ব্রিটিশ লেখক জর্জ অরওয়েলের লেখা। বেকেট তার প্রথম উপন্যাস শুরু করেছেন কোনো বিকল্প ছাড়াই, কোনো নতুনত্ব ছাড়ায়ই সূর্যোদয়ের কথা বলে। আর অরওয়েল তার উপন্যাস শুরু করেছেন এপ্রিলের উজ্জ্বল কিন্তু ঠান্ডা দিনের